ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে সরকার দানব হয়ে ওঠে: মাহমুদুর রহমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে সরকার দানব হয়ে ওঠে: মাহমুদুর রহমান

মজলুম সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র যদি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চা বাংলাদেশে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটা লাগবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া যে আপনি গণতন্ত্র রাখতে পারবেন না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের চার দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে সিনেট ভবনে আয়োজিত "জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যম; স্বাধীনতা, নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে একটি সরকার যে দানব হয়ে ওঠে তা আমরা দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে আপনার জবাবদিহিতা থাকবে না। আপনি যদি জানেন যে আমাকে কেউ সরাতে পারবে না তাহলে ক্রমাগতভাবে আপনি ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে অন্তত একটা ভয় থাকে যে পাঁচ বছর পর পর জনগণের কাছে যেতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, আজকে একটা ভালো দিন, ভালো দিন এই জন্য যে আজকে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হয়েছে।

গণতন্ত্র যদি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চায় বাংলাদেশে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটা লাগবে। আমরা যদি গত ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনের দিকে দেখি তাহলে দেখবো যে গত তিন নির্বাচনেই ক্ষমতারশীল সরকার পরাজিত হয়েছে। সুতরাং যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা কাজ করে শুধুমাত্র যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে। তাই আমরা চাই এই সরকার একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করুক। আমরা জানি যে জুলাই সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিভাবে গঠিত হবে তার রোডম্যাপ দেওয়া আছে। আমরা আশা করব আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যে সরকারি ক্ষমতায় আসুক না তারা যেন জুলাই সনদ মেনে নেয়। জুলাই সনদ মেনে নিলেই আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আবার নতুন করে কোনো সম্রাট বা সম্রাজ্ঞী চাইনা। একজন সম্রাজ্ঞী দেখেছি এনাফ। একজন সাম্রাজ্যের মাধ্যমে এই বাংলাদেশ থেকে এই সম্রাট এবং সম্রাজী কালচার এবং রাজপরিবার কালচারের পরিসমাপ্তি ঘটে। এটাই আমার প্রত্যাশা একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে।

সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান ও রাবি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফজলুল হকসহ প্রেসক্লাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার,সরকার,মাহমুদুর রহমান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত