
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় সময় কাটানোর মধ্যে মানুষ একটু শিথিলতা চায়। সঠিক মানসিকতা আর ছোট ছোট কিছু কৌশল কাজে লাগালে কর্মক্ষেত্রও হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক আর উৎপাদনশীল।
দিনের একটা বড় সময় বেশিরভাগ মানুষ কাটান কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু অফিস করতে কারই বা ভালো লাগে। রোজ রোজ কাজের চাপ, লক্ষ্যপূরণের চিন্তা, বসের বকুনি, রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম— সব মিলিয়ে অফিস যেন বিরক্তিকর এক স্থান।
চলুন জানা যাক, কীভাবে অফিসের সময়টা উপভোগ্য করে তুলবেন:
১. নিজের কাজের রুটিন সাজান: যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যায় রুটিন অনুযায়ী করলে। তাই দিনের শুরুতেই নিজের কাজগুলোর তালিকা তৈরি করে নিন। সবচে ভালো হয় আগের রাতেই রুটিন সাজালে। কাজগুলো ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। এতে চাপ কমবে। সেসঙ্গে কাজ শেষ হওয়ার আনন্দও মিলবে।
২. অফিসে ছোট আনন্দ খুঁজুন: অফিসের কাজে আনন্দ খুঁজে বেড়ান। প্রিয় সঙ্গী কিংবা সহকর্মীর সঙ্গে সংলাপ করুন। অফিস মানেই যে সারাক্ষণ কেবল কাজে ডুবে থাকতে হবে এমনটা নয়। চা-কফি বিরতির সময় হালকা গল্প করতে পারেন। হাস্যরস কিংবা গান উপভোগ করুন। এতে অফিসের সময়ে আনন্দ খুঁজে পাবেন।
৩. কাজের পরিবেশকে উপভোগ্য করে তুলুন: যেকোনো কাজ তখনই আনন্দময় হয়ে ওঠে যখন পরিবেশ নিজের মনমতো হয়। তাই অফিসে নিজের ডেস্ক, চেয়ার, কম্পিউটার এমনভাবে সাজান যেন আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। ছোট্ট শোপিস, পেন হোল্ডার বা উদ্ভিদ রাখতে পারেন ডেস্কে। ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে কাজের স্থান সাজান। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে, মনও ভালো থাকবে। মাঝেমধ্যে হেডফোনে গানও শুনতে পারেন। এতে মানসিক চাপ কমবে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এটি কাজের মানসিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন: পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় সহকর্মীদের সঙ্গে। তাই তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। ছোট ছোট কাজেও প্রশংসা করুন, ধন্যবাদ দিন। অফিস মানেই টিম ওয়ার্কের জায়গা। তাই দলগত কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুন। অন্যের প্রতি সহযোগী মনোভাব রাখলে মন ভালো থাকে, দলগত পারফরম্যান্সও উন্নত হয়।
আবা/এসআর/২৫