দেশব্যাপী অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাস গ্যাস পিএলসি সক্রিয় অভিযান পরিচালনা করছে। এ লক্ষ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি ডেমরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে ওয়াহিদের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাসের মেট্রো ঢাকা বিপণন বিভাগ-২-এর সহযোগিতায় কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণকিত্তা ও খাগাইল এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
এ অভিযানে তিনটি স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ১ম স্পট ব্রাহ্মণকিত্তা এলাকায় একটি নাম বিহীন খানাডুলি কারখানা যার হিটিং চেম্বার -০২টি, লোড -৪৫০ঘনফুট/ঘন্টা, ২য় স্পট খাগাইল এলাকায় নাম বিহীন খানাডুলি কারখানা যার হিটিং চেম্বার -০৪টি, লোড- ৫৫০ঘনফুট/ঘন্টা এবং ৩য় স্পট খাগাইল এলাকায় নাম বিহীন কেচি কারখানা যার ভাট্টী-০১টি, লোড -৮০০ ঘনফুট/ঘন্টা ।
অভিযানে ১৩০ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি পাইপ, ৫টি বুস্টার/কম্প্রেসার, আনুমানিক ২৫০ ফুট হোস পাইপ, ৬ সেট হিটিং চেম্বারের বার্নার (৪০টি বার বার্নার) জব্দ করা হয়। এতে প্রতিদিন আনুমানিক ১৫,৮৫৬ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে বলে জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, একই দিনে আশুলিয়ায় মেসার্স মিজান সিএনজি স্টেশনে অভিযান চালিয়ে কম্প্রেসর ও ক্যাপটিভ পাওয়ার রানের মিটারে নকল সিল স্থাপন পাওয়া যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস সংযোগ তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই পদক্ষেপের ফলে মাসিক প্রায় দেড় কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে।
তিতাস গ্যাস জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ১৮১টি শিল্প, ১০০টি বাণিজ্যিক ও ২২,৩৭৫টি আবাসিক সংযোগসহ মোট ২২,৬৫৬টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, ৫১,৬০৮টি বার্নার অপসারণ এবং ১১২ কিলোমিটার পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে।