ধর্ষণের মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত না, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয় এজন্য আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আইন উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেন ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের শিক্ষার্থীরা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের দাবিগুলো যৌক্তিক। মাগুরার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় কোনো প্রকার কাল বিলম্ব করা হবে না। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সজাগ সরকার। বিভিন্নভাবে ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে নারীর ওপর নির্যাতন ও হয়রানির ক্ষেত্রে সরকার জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের মূল কৃতিত্ব নারীদের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নারীদের যারা উত্যক্ত করবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ সময় নিজেকে নৈতিকভাবে পরিশুদ্ধ করে মোরাল পুলিশিং করতে আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক শেষে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘আমরা মনে করি পাঁচটি দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে। মাগুরার ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের দফাগুলো হলো :
১. আছিয়ার মামলার ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং এক মাসের মধ্যে আছিয়ার ধর্ষকের বিচারিকপ্রক্রিয়া সম্পন্নসাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আছিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।