অনলাইন সংস্করণ
১৮:০২, ১৭ জুলাই, ২০২৫
গোপালগঞ্জে সম্প্রতি সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আইএসপিআরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণকে ধৈর্য ধারণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে একটি রাজনৈতিক দলের পদযাত্রা ও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতায় একদল উশৃঙ্খল জনতা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পরে সমাবেশস্থলে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং জেলা কারাগারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সেনাবাহিনী বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা সেনাবাহিনীর ওপর ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়।
এখন গোপালগঞ্জ জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং প্রশাসন ঘোষিত কারফিউ চলমান আছে বলে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারণকে বিশেষভাবে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।