অনলাইন সংস্করণ
১৬:৪৯, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় হয়েছে। এই রায়ে শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছে, রাষ্ট্র ন্যায়বিচার পেয়েছে, প্রসিকিউশন ন্যায়বিচার পেয়েছে। শহীদদের প্রতি, দেশের প্রতি, এ দেশের মানুষের প্রতি, সংবিধানের প্রতি, আইনের শাসনের প্রতি এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এ রায় যুগান্তকারী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শেখ হাসিনার মামলার রায়ে শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছে এবং রাষ্ট্র তার ন্যায়বিচারের দায়িত্ব পালন করেছে। প্রসিকিউশন পক্ষও ন্যায়বিচার পেয়েছে। এই ন্যায়বিচারের মানদণ্ড হলো— মামলার দুইজন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরেকজন আসামি, যিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতের সামনে হাজির হয়েছেন, সার্বিক বিবেচনায় আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদদের প্রতি, দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই এ রায় একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই রায় প্রশান্তি আনবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি বার্তা হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পাঁচটি অভিযোগকে তিনটি কাউন্টে এনে সাজা দেওয়া হয়েছে। আইনের বিধান অনুযায়ী, যেদিন থেকে গ্রেপ্তার হবে সেদিন থেকেই সাজা কার্যকর হবে। রাষ্ট্র আইনগতভাবে যা করণীয়, তা করবে। শহীদদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি ছিল না, তাই এ বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক অবস্থায় আপিল করার সুযোগ বাংলাদেশে নেই এবং বিশ্বের কোনো দেশেই এমন সুযোগ আছে বলে তার জানা নেই।
