অনলাইন সংস্করণ
১৭:৪৬, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপেক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার। একইসঙ্গে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। একটি ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই অব্যাহত রাখব।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার অগ্রগতি নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের পর ১৮টি ক্ষেত্র সংস্কারে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে এ সংস্কার কমিশন। একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ভালো নির্বাচন আয়োজনে অনেক সুপারিশ করেছিল এই কমিশন। কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি জানান, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল গেজেটে প্রকাশের আগে, তার সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা সার্টিফাই করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিধানের বিষয়ে আরপিও অধ্যাদেশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ইসি। নির্বাচনী ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে একাধিক নির্বাচনী আসনের জন্য নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন ও নির্বাচনী ব্যয় নজরদারি করার বিষয়েও কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসি।
সুজনের সম্পাদক বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা হয়। তবে আরপিও অধ্যাদেশ অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের সর্বশেষ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নের কপিও জমা দিতে হবে। একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করার বিষয়টি আরপিও অধ্যাদেশে উপেক্ষিত।
তিনি বলেন, পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রাখা এবং প্রতি ৫ বছর পর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি আরপিও অধ্যাদেশে উপেক্ষা এছাড়াও কমিশন কিছু কিছু সুপারিশ গ্রহণ করেছে। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেয়ার পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধানের সুপারিশটি উপেক্ষিত আরপিও অধ্যাদেশে বলেও জানান ড. বদিউল আলম মজুমদার।