অনলাইন সংস্করণ
১৮:৫৯, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বরিস একিঞ্চি। এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন ছাড়াও উচ্চপর্যায়ের আরও দুইজন কূটনৈতিক উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জামায়াতের আমিরের বাসভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে আমিরের বাসভবনে প্রবেশ করেন এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় বের হন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, উনারা সাক্ষাৎ করতে আসায় জামায়াতে আমির সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা আমিরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য যে উদ্যোগ এবং সহযোগিতার কথা স্মরণ করা হয়েছে, জামায়াতের আমির তার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকালে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ জানতে চেয়েছেন। জামায়াতের আমির সেই সময়ের ছাত্রদের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে প্রায় ১২০০ ছাত্র-জনতার জীবনদান ও ২৫–৩০ হাজার ছাত্র-জনতার আহত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করেন। এছাড়া আহত-নিহতদের পাশে সহানুভূতির মানবিক সহায়তার বিষয়ও তিনি তুলে ধরেন।
সেক্রেটারি জেনারেল আরও জানান, তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সংস্কার ও নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমির ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “সংস্কার ইস্যুতে মতের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যদি সব রাজনৈতিক দল এবং স্টেকহোল্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছায়, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব।”
এছাড়া বাংলাদেশ–তুরস্ক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নির্মাণ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার সুযোগ, দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা, দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব, তুরস্কের উন্নয়ন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা এবং জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের অতীত কঠিন সময়, জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।