অনলাইন সংস্করণ
২০:৫৫, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শেষ পর্যায়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, দেশের মানুষ এখন শান্তি ও ঐকমত্য চায়; কিন্তু সীমান্তের ওপারের চাওয়া হলো বিভেদ, সংঘাত ও বিভক্তি। গণভোট আয়োজন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হলেও এটি কবে হবে—জাতীয় নির্বাচনের আগে, নাকি একই দিনে—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্টতা নেই। তাই সরকারের উচিত দ্রুত সময়সূচি ঘোষণা করা।
বুধবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপি—এই তিন দলের ইগো সমস্যা এখন জাতীয় ঐক্যের প্রধান অন্তরায়।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “সরকার এ তিন দলকে নিজেদের অংশ মনে করেই নিউইয়র্ক সফরে সঙ্গে নিয়েছে।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে—তা ‘সংবিধান আদেশ’, ‘অধ্যাদেশ’ নাকি ‘জুলাই সনদ আদেশ’ নামে জারি হবে—এ নিয়েও বিতর্ক চলছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “এসব বিতর্ক দেখে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ পরোক্ষভাবে সীমান্তের ওপারের চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “চূড়ান্তভাবে ঐকমত্য না হলে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের উচিত হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা।”
বৈঠকে উপস্থিত এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, “জুলাই সনদের প্রতিটি বিষয়ে যেহেতু সব দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়নি, তাই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত। গণভোটে জয়ী হলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়া দলগুলোর অবস্থান জনগণের রায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নই চায়—এই প্রত্যাশা থেকেই গণভোট সফল হবে।”