অনলাইন সংস্করণ
১৭:৩৭, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনাসহ সমমনা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াত ইসলামীর কোনো ধরনের মালিকানার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। এদিন সকালে ইসির সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপির দাবি আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটার ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো মালিকানার সম্পর্ক নেই। তারা এটা বিতর্কিত করছে।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, বিএনপিও অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান চালায়। আমরাও অভিযোগ দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। জুলাই মাসে তৈরি জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে, সে সম্পর্কে জাতিকে জানতে হবে।
এছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে—এমন টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় বলেও জানান তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসিকে অবশ্যই জুলাই সনদ ও সংস্কারের বিষয়গুলো পাবলিক করতে হবে যাতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।