অনলাইন সংস্করণ
১৫:৫২, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। তার আগে গণভোট অনুষ্ঠিত করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সময়, অর্থ ও নির্বাচনের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় এটি অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বিএনপির অবস্থান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে সুপারিশমালা দিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এবং সুপারিশ একপেশে ও জবরদস্তিমূলকভাবে জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়. রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ হয়েছে তা ছিলো অর্থহীন, প্রহসনমূলক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা ছিল আগামী নির্বাচিত জাতীয় সংসদ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে এবং তার আইনি ভিত্তি দেবে। অথচ সুপারিশমালায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি টার্ম যোগ করা হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত ও উদ্দেশ্যমূলক।
তিনি আরও বলেন, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে সংস্কার শেষ করতে ব্যর্থ হলে গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যে কোনও সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে।’
তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবেই চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান গ্রহণ ও প্রকাশে আমরা দ্বায়বদ্ধ।