মিষ্টি সুরে বৃষ্টি ঝরে সকাল দুপুর রাতে,
কে তোরা বর্ষা দেখবি আয় আমার সাথে।
বৃষ্টি পড়ে নদীর বুকে টিনের ঘরের চালে,
একটুখানি বাতাস লাগে কদমগাছের ডালে।
কদমফুলের রেণুগুলো পড়ে ক্ষণে ক্ষণে,
হাঁসগুলো সব দলবেঁধে আজ চলে গেল বনে।
মুষলধারে বৃষ্টি নামে দুলছে দেখো তরী,
পুকুরপাড়ে যাচ্ছে দেখা ব্যাঙের গড়াগড়ি।
কাদাজলে যায় না হাঁটা উল্টো পথের গলি,
এত বৃষ্টি উড়ছে না আজ মাঝ উঠোনের ধুলি।
হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবার ভয় জাগে প্রাণে,
লেবুর পাতা ভেসে যাচ্ছে বর্ষাকালের বানে।
দূরাকাশে কালো মেঘের রঙিন হাতছানি,
হঠাৎ দেখি চরণতলে বর্ষাকালের পানি।
পথের ধারের ঘাসফুলেরা ফিরে পেল প্রাণ,
কোন সে সখা বিভোর সুরে গাইছে শ্রাবণ গান!
বুনোহাঁসের পাখায় ঝরে বেপরোয়া জল,
কাদাজলে বিশ্রী দেখতে বটগাছের তল।
মধ্যরাতে জানলা খুলে বৃষ্টির সনে ভাব,
কল্পনাতে তখন আমি রূপকথার নবাব।
বন্ধু আমার ছাদে গিয়ে বৃষ্টি বিলাস করে,
আমার বন্ধুর আদুল গায়ে বৃষ্টি এসে পড়ে।
ঘরের বাহির হয়ে আমি বৃষ্টি গায়ে মাখি,
আজন্মকাল বৃষ্টির কাছে ঋণী হয়ে থাকি