ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মহাকাশযান থেকে এলিয়েনের আত্মপ্রকাশ

মহাকাশযান থেকে এলিয়েনের আত্মপ্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের হলোম্যান বিমানঘাঁটিতে একবার এলিয়েনের (ভিনগ্রহবাসী) মুখোমুখি হয়েছিলেন বিমানবাহিনী ও মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তারা। ১৯৬৪ সালে ঘটেছিল এ ঘটনা। এ বিষয়ে অবগত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ (১৯৮৯-১৯৯৩)। নতুন মুক্তি পাওয়া একটি প্রামাণ্যচিত্রে এমন অবিশ্বাস্য দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট। তবে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দাবির পক্ষে প্রামাণ্যচিত্রে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখানো হয়নি। ‘দ্য এজ অব ডিসক্লোজার’ নামের এ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এরিক ডেভিসের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ২০০৩ সালে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বুশ তাকে ওই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন।

এরিক ডেভিস ২০০৭ সালে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠিত অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামের (এএটিআইপি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন প্রয়াত সিনেটর হ্যারি রিড। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়- বুশ এরিককে বলেছেন, তিনটি মহাকাশযান ওই ঘাঁটির কাছে আসে এবং একটি অবতরণ করে। সেটি থেকে এক এলিয়েন বেরিয়ে এসে বিমানবাহিনী ও সিআইএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে। বুশ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে জানানো হয়, তা জানার ‘প্রয়োজন নেই’। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে নৌবাহিনীর পাইলট ও সিআইএর পরিচালক ছিলেন। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে এ ঘটনা জানানো হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া ওই প্রামাণ্যচিত্রে পদার্থবিদ ও সাবেক এএটিআইপি সদস্য হ্যাল পাথহফের সাক্ষাৎকারও রয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ভিনগ্রহের বিভিন্ন সত্তার নমুনাও উদ্ধার করা হয়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট ও ক্যানসার গবেষক গ্যারি নোলান বলেছেন, যেসব সামরিক সদস্য ওই মহাকাশযানের কাছাকাছি গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, তাদের কয়েকজন ভীষণভাবে দগ্ধ বা আহত হয়েছিলেন।

প্রামাণ্যচিত্রটির পরিচালক ড্যান ফারাহ আশা করছেন, এ চলচ্চিত্র আকাশে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু তথা ইউএফও সংক্রান্ত তথ্য-উদ্ঘাটনের আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নেবে এবং কোনো এক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করতে সাহস জোগাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত