
হেমন্তের শুরুতে ঘন সবুজের চাদরে মোড়া চা বাগান, ছোট-বড় পাহাড়ি টিলা আর পাখির কলতানে মুখরিত প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের মাঝেই শোভা ছড়াচ্ছে কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানের দৃষ্টিনন্দন ক্যামেলিয়া লেক। স্থানীয়ভাবে ‘বিসলার বান’ নামে পরিচিত এই লেকটি এখন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আসা পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ডানকান ব্রাদার্স টি এস্টেটের অন্তর্গত এ লেকটির ১৯৯৪ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এ লেকের বৈশিষ্ট্য হলো এটি বাগানের একেবারে উচ্চভূমিতে অবস্থিত। যা দেশের অন্যান্য চা বাগানের লেকের তুলনায় একেবারেই ব্যতিক্রমী। লেকের পথে আঁকাবাঁকা মেঠোপথে চোখে পড়ে শত শত বানরের পাল, যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বাড়তি আনন্দের উৎস। শমশেরনগর চা বাগানের রাম লোচন ও শুক্লা জানান, লেকের পানিই চা বাগানের শ্রমিকদের একমাত্র পানির উৎস। চা বাগান কর্তৃপক্ষ এখানে কিছু কৃত্রিম সৌন্দর্যও যুক্ত করেছেন। পানির ওপওে তৈরি পাটাতন, লেকের পাশের ‘ক্লাব ঘর’ আর বালুময় তট এই লেকটিকে করেছে আরও আকর্ষণীয়। বিকাল বেলায় এ লেকের ধারে শুরু হয় পরিযায়ী পাখির কলতান ও জলকেলির দৃশ্য আগত দর্শনার্থীদের মনকে দেয় প্রশান্তি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ বা শমশেরনগর রেল স্টেশনে নেমে সিএনজি বা বাসে করে সহজেই লেকটিতে আসতে পারেন। তবে এটি চা বাগানের ভেতরে হওয়ায় ভ্রমণের আগে বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া ভালো।
এই সফরে লেকের পাশের ডানকান ব্রাদার্স টি এস্টেটের ক্যামেলিয়া হাসপাতাল ও গলফ মাঠের মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করা যায়, যা পর্যটনপ্রেমীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।