
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলমের ওপর হামলাকারী প্রধান আসামি রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ১৬ আগস্ট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার রাসেল আন্তঃজেলা চোরাকারবারী ও মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং নিজ এলাকায় তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা রাসেল বাহিনীর প্রধান ও অবৈধ অস্ত্রধারী।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি আল আমিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রাসেলের কাছ থেকে ৩০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের ওপর হামলাসহ আরও কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। সাংবাদিক খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্র রাসেল বাহিনীর নানা অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করে আসছিলেন। এর জেরে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত ১৫ অগাস্ট রাতে ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া বাজার এলাকায় সাংবাদিক খোরশেদ আলমের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় খোরশেদ আলম জ্ঞান হারালে সন্ত্রাসীরা তকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে সাংবাদিক খোরশেদ আলম গুরুতর আহত অবস্থায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পর দিন আহত সাংবাদিক মো. খোরশেদ আলমের ছোট ভাই মো. হুমায়ুন খান বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী ও একাধিক মামলার আসামি মো. রাসেল মিয়াসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ৬ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।