ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী

সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে অবস্থিত ঐতিহাসিক মধু পল্লী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চরম অবহেলা ও সংস্কার বাজেটের অভাবে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে। অথচ এই স্থানটি বাংলাদেশের সাহিত্য, ইতিহাস এবং পর্যটনের এক অনন্য নিদর্শন। চরম অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো মধু পল্লীতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র। মহাকবির স্মৃতিবাহী ‘দত্তপুকুর’ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাড় ধসে পড়েছে, চারপাশের বাঁধ ভেঙে পড়ে আছে। কবির জন্মভিটার মূল ভবন ও পার্শ্ববর্তী কাকার বাড়ি চরম জীর্ণ। ভবনের দেয়ালে ফাটল, জানালা-দরজার কাঠামো নড়বড়ে, ভবনে বড় ধরনের ধস নামার শঙ্কা প্রকট।

সরকারি বাজেটে নাই মধু পল্লীর জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কারের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজেট পেলেও মধুপল্লীর জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয় নি। যা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যটক, সংস্কৃতিপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে জরুরি বরাদ্দ ও কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে সাগরদাঁড়ি মধু পল্লীর কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, মধুপল্লীর সংস্কার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না। তিনি আরও জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটে মধু পল্লীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম না থাকলে, সেটিকে জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তাৎপর্যই বা কোথায়?

শুধু স্মারক হিসেবে নয়, জাতির সাহিত্যিক শিকড় রক্ষার জন্য মধুপল্লীর মতো স্থাপনা গুলোকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত