ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাঁকখালী নদীর তীর উচ্ছেদ অভিযানে আবারও বাধা

বাঁকখালী নদীর তীর উচ্ছেদ অভিযানে আবারও বাধা

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার বসবাসকারীদের বাধার মুখে প- হয়ে গেছে। দিনভর উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা লোকজনের বিক্ষোভ ও প্রতিবন্ধতার পর বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আনা বুলডোজার। একই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

গতকাল বুধবার সকালে কস্তুরাঘাটের পূর্ব পাশের পেশকার পাড়ার অংশে উচ্ছেদ শুরু করতে গেলে সেখানে বসবাসরতরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অভিযান দল পেছনে এসে নদীর অংশ থেকে অভিযান শুরু করার চেষ্টা করলেও সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। শত শত মানুষ উভয় পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। তারা বলছেন, এসব জায়গার বৈধ কাগজ ও খতিয়ান রয়েছে। তারা প্রাণ দিবেন তবে উচ্ছেদ অভিযান করতে দেবেন না। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে সরে যাওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তাদের সরানো যায়নি। বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তৃতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এদিকে গত মঙ্গলবার কস্তুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধভাবে দখল করে তৈরি স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশের পর হামলার ঘটনায় এজাহারনামীয় ৯ জনসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট-খুরুশকূল সংযোগ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান শুরু করতে গেলে বাধা প্রদান করা হয়। এসময় ছোঁড়া ইটের আঘাতে পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত