
বাংলাদেশের কৃষি নির্ভরশীল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা মূলত কৃষিকাজের জন্য উর্বর ও অনুকূল এ পরিবেশ রয়েছে। উপজেলায় কৃষি উৎপাদনকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। উপজেলার ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ও কৃষি জমি উপজেলার মানুষের প্রধান জীবিকা।
এই জন্য সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সরকারের অন্যান্য বিভাগ কৃষকদের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছে।
উপজেলার কৃষকদের জন্য সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি ও টিএসপি সার সরবরাহ করে থাকে। উপজেলার কৃষকদের মধ্যে সারের কোনো সংকট না থাকায় উপজেলার চাষিরা খুশি।
চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে উপজেলায় ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে সার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কোনো রকমের কৃষকরা ভোগান্তির শিকার না হয়। তার জন্য উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারাও নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে যাচ্ছে।
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন, রায়পুর ইউনিয়ন, কেডিকে ইউনিয়ন, উথলী ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় ডিলারদের গোডাউনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সার মজুত রয়েছে। খাতাণ্ডকলমে হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা করে কৃষি কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে কৃষকরা সময়মতো ও ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন।
প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন সার ডিলার পরিদর্শন করেন, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন, জীবননগর অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পাভেল মাহমুদ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাহ এ সময় ডিলারের গোডাউন পরিদর্শন ও খাতাণ্ডকলম পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। পরে সার নিতে আসা অনেক কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত সার বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কৃষক মাহাবুর রহমান বলেন, সারের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা ডিলারদের কাছ থেকে যখন যে সার দরকার গেলেই পাই। কেডিকে ইউনিয়নের কৃষক ইনামুল হক বলেন ডিলারের কাছ থেকে সময় মতো সার পাচ্ছি এবং ঠিক সময় মতো ফসলে সার দিতে পারি। সরকার সার ভর্তুকি দিচ্ছে এবং আমরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিলারদের কাছে সার পাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন আরও বলেন, সরকার কৃষকদের হাতে সময়মতো সার পৌঁছে দিচ্ছে। আমরা কঠিন মনিটরিং মাধ্যমে সার বিতরণ করছি ডিলারদের মাধ্যমে অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন উপজেলায় সারের ঘাটতি নেই।