মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনসহ পরিবারের ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে নিজের বাবা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে কোটা সুবিধা নিয়ে বিসিএসে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরিসহ বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত দুদকের চলমান রয়েছে। তাই এ বিষয়ে কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলা সূত্রে জানা যায়, কামাল হোসেন ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। এ সময় তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন। সুবিধা পেতে নিজের জন্মদাতা বাবা-মা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে চাচা মো. আহসান হাবীব (বীর মুক্তিযোদ্ধা) এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা হিসেবে উল্লেখ করেন। এই জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুদকের চলমান তদন্তে আসামি কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
