
চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প কারখানা দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড চিনিকল ৬৩ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুমে ৮৮তম আখ মাড়াই কার্যক্রম গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে।
চলতি মৌসুমে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়ায় করে ৫.০৬ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে চিনিকল এলাকায় ৫,৫৬২ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আখচাষিদের আখ চাষের বীজ, সার এবং নগদ অর্থ সহায়তা বাবদ ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। আখ চাষি পর্যায়ের আখের ক্রয় মূল্য ৬ হাজার টাকা টন থেকে বৃদ্ধি করে ৬,২৫০ টাকা করা হয়েছে। গত মৌসুমে ৭২,২৩৫ টন আখ মাড়াই করে ৩,৬৮৫ টন চিনি উৎপাদনে সক্ষম হয় চিনিকলটিতে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় মিলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব দায়িত্ব) বিএসএফ আইসি রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। প্রধান অতিথি শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর শিল্প কলকারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সরকার অল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, অতীতে চিনি কলগুলোতে চিনি গুদামজাত হয়ে থাকত বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করার কারণে।
এ সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বিদেশ থেকে কোন চিনি আমদানি করবে না। তাহলে চিনি শিল্প গতিশীল থাকবে। টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে চিনি বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ১০২ কোটি টাকা বিয়ে মারি কাজ এ মৌসুমেই সমাপ্ত হবে।
তাহলে আগামীতে চিনিকলে মুনাফার মুখ দেখব বলে আশা করি। কারখানাটি ১২৯ কোটি টাকা মুনাফা উপার্জন করেছে। সরকারের কোষাগারে ১৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, উন্নত জাতের আখের বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়া আসছে আখ চাষিদের মধ্যে সরকার। আগামীতে চিনি কলগুলো কীভাবে সচল রাখা যায় সেজন্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।