ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট কেন জরুরি

রায়হান আহমেদ তপাদার
শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট কেন জরুরি

বিশ্বব্যাপী জাতীয় বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬-৮ শতাংশ শুধু শিক্ষার জন্য বরাদ্দের কথা বলা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে বরাবরই প্রয়োজনের তুলনায় কম বরাদ্দ দেওয়া হয় শিক্ষা খাতে। বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং অথনীতির মুখে আমাদের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে বাজেট করা কঠিন কাজ। অথর্নীতির প্রচলিত নিয়মে একে বাঁধা যায় না। রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, মেধা মননের বিকাশের ক্ষেত্রে যে কয়েকটি খাত রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম।

এ খাতটি একটি রাষ্ট্রে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিকের মেধা, চিন্তা, শক্তি স্বাভাবিক জীবন বোধের জাগরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যভাবে এ খাতের উন্নয়ন কল্পে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা থেকে রাষ্ট্র অনেক দূরে। বড় সমস্যা আমাদের শিক্ষার উন্নতি কল্পে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ খুবই কম। অথচ আমাদের পাশ্চাত্য দেশ ভারত, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত কম। বাংলাদেশে এমন কিছু খাত আছে যেখানে বরাদ্দ অনেক অথবা উৎপাদনশীল খাত নয় সেখানে বরাদ্দ বাড়ানো হয় আর শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ে না বরং কমে।

সাধারণত স্নাতক শিক্ষিতদের মধ্যে উচ্চ বেকারত্ব হার বিরাজ করছে, তার একটি বড় কারণ হচ্ছে যে তারা যে ধরনের শিক্ষা অর্জন করেছে আর যে ধরনের যোগ্যতার জন্য চাকরি বাজারে চাহিদা আছে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জনসংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ার কারণে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণও বাড়ে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সেবা খাতে অর্থ বরাদ্দের যে পরিকল্পনা সেটাই সাধারণত বাজেট হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।

একটি দেশের জনসংখ্যা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উপর বাজেট অনেকাংশে নির্ভর করে। কারণ, কাম্য জনসংখ্যা হলে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ কম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে শিক্ষায় দেশ এগিয়ে গেলেও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আত্মকর্মসংস্থান ও বেকারত্বের অবসানের কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটে বেকার সমস্যার সমাধানের দিকনির্দেশনা থাকা উচিত। শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ডহীন প্রাণী যেমন সোজা হয়ে দাঁড়াতে, চলতে, ফিরতে পারে না। তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

জাতির এই সোজা হয়ে দাঁড়ানোর অর্থ হচ্ছে শিক্ষা, তাছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। প্রতি বছরই বাজেট প্রণয়নের আগে ও পরে যেসব আলোচনা হয় তার বিষয়বস্তুতে আশ্চর্য মিল থাকে। সংখ্যাগুলোয় সেটা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হোক বা খাতভিত্তিক বরাদ্দ হোক হয়তো কিছু তফাৎ হয়। এবারও সেগুলো আলোচিত হচ্ছে। কারণ এখন দেশের পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। বর্তমান সরকারের কাছে প্রত্যাশা অনেক। উন্নয়ন কৌশল গ্রহণে এ সরকারের সামনে প্রতিবন্ধকতা যেমন আছে, তেমনি অতীতের রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত বাধ্যবাধকতা ভণিতা অপসারিত হয়েছে।

যেমন; জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ও বিগত বছরের অর্জন এ বাজেটে কীভাবে আসবে। অতীতে অর্জন বাড়িয়ে দেখানো হতো, লক্ষ্যমাত্রাও এত উঁচুতে রাখা হতো সবাই ধরেই নিত সেটা নিছক বলার জন্যই বলা। এ সরকার অন্তত গত দুই বছরের প্রকৃত প্রবৃদ্ধির নতুন হিসাব দিলে সবাই আশ্বস্ত হবে প্রবৃদ্ধির অতিরঞ্জন বিষয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা এ সরকার গ্রহণ করেছে। সেটা করলেই সম্ভব হবে তার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ, যেখানে থাকবে আগামী বছরের জন্য অর্জনযোগ্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ।

বিগত অনেক বছর ধরেই কয়েকটি জরুরি বিষয় মনোযোগ পায়নি। তার মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন। এসবের জন্য যথাযথ কৌশল ও লক্ষ্য নির্ধারণ এবং বাজেট বরাদ্দের অভাবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি রয়ে গেছে অব্যবহৃত, আর তরুণরা হয়েছে বঞ্চিত। তরুণরা দেখছে জাজ্বল্যমান বৈষম্য।

সেই বঞ্চনার বোধ রূপ নিয়েছে বিপ্লবে। কাজেই এবারের বাজেটে তরুণদের প্রতি মনোযোগের মাধ্যমে পরিবর্তন প্রত্যাশিত। সেটা সম্ভব হবে কর্মসংস্থানমুখী বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে। সেই সঙ্গে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো শুধু নয়, সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে তা ব্যবহার করে তরুণদের প্রস্তুত করার আশু পদক্ষেপ লাগবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের বৃহত্তর অংশ বরাদ্দ করা দরকার ও মোট বরাদ্দ গত কয়েক বছরে যা ছিল তার দ্বিগুণ করা উচিত।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, প্রাক-বাজেটে আলোচনার নামে যে অনুষ্ঠান প্রচলিত আছে, সেখানে এগুলো প্রতি বছরই জোরেশোরে বলা হয়। কিন্তু কে বা শোনে ধর্মের কাহিনী। তবে এ বছরের প্রেক্ষিত যখন ভিন্ন, তখন এ পরিবর্তনের আশা করাই যায়।

এ বছরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ আরেকটি কারণে দেয়া যায়। এবার এটা বাড়লে ভবিষ্যতে যখন নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আসবে, তখন তারা এটা কমাতে দ্বিধান্বিত হবে। কাজেই এখনই সময় নতুন কিছু করার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ালেই শিক্ষার মানোয়ন্নয়ন হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। সেখানে এ বাজেট ব্যবহার করে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ এবারের বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। গত দেড়-দুই দশকে দেশে বৈষম্য বেড়েছে অব্যাহত ভাবে। সেই বৈষম্য শুধু আয়বৈষম্য নয়, সেই সঙ্গে সুযোগের বৈষম্যও।

সর্বোপরি ব্যক্তি হিসেবে যা প্রত্যাশিত সম্মান ও স্বীকৃতি, উন্নয়নে অংশগ্রহণ- সব ক্ষেত্রে বৈষম্য মানুষের জীবন অর্থপূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তরুণদের স্বপ্ন হরণ করা হয়েছে। তাদের নির্ভরশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াকে বিপরীতমুখী করার মতো উপকরণ এ বাজেটে প্রত্যাশিত। সেটা শুধু কথা আর আশ্বাস নয়, হতে হবে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য।

এক বছরে কতটুকু করা যাবে, সেখানে সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে। তবে অন্তত দুই বা তিন বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তার প্রথম অংশের বাস্তবায়নের জন্য এবারে বরাদ্দ রাখা যায়। বাকিটা তার যুক্তিসংগত পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাবে ধরে নেয়া যায়। ক্রমবর্ধমান যে বৈষম্য, তা সবচেয়ে জাজ্বল্যমান গ্রাম ও শহরের মধ্যে। সহজ ভাষায় বললে, ভালো স্কুল, কলেজ শহরে। ভালো হাসপাতাল দূরবর্তী শহরে। শুধু শহর-গ্রামের বৈষম্য বললেও পুরো পার্থক্য সুস্পষ্ট হয় না। আসলে সব সুযোগ দুই-তিনটি বড় শহরে। সব অবকাঠামো গ্রামে পাওয়া সম্ভব নয়, বাস্তব সম্মত নয়। কিন্তু অন্তত জেলা শহর আর বিভাগীয় শহরগুলো উন্নত হলে তাতে একদিকে সব এলাকায় মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুষম বণ্টনের সুযোগ থাকত, আর উন্নত পরিষেবা সহজে পাওয়া যেত।

শহর-গ্রামের বৈষম্য কমানোর কিছু প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে জড়িত কৃষির প্রশ্ন, যেটা আসলে কৃষকের প্রশ্ন। বাজেটে কৃষির জন্য, বরাদ্দ থাকে অবশ্যই, সেগুলোর বেশখানিকটা ভৌত অবকাঠামোর জন্য থাকে সাধারণভাবে ভর্তুকি, যন্ত্রপাতির জন্য কর রেয়াত ইত্যাদি। কাজেই কৃষির যান্ত্রিকীকরণে প্রণোদনা দিয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। কিন্তু কৃষি মজুর, যারা কাজ হারাচ্ছেন, তাদের কী হবে, সেটাও ভাবতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার সংখ্যা কমে গেছে। মোট কর্মসংস্থানে সেগুলোর অংশও তাই কমেছে।

অন্যদিকে বৃহৎ উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানের অংশ বেড়েছে। শ্রমবাজারে তাদের আধিপত্য বেড়েছে, যা বৈষম্য বাড়ার প্রক্রিয়ায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। ? বৈষম্য কমানোর যদি আন্তরিক আগ্রহ থাকে, তাহলে এ বাজেট সুযোগ দিচ্ছে কিছু বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার। সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের সুযোগ বৃদ্ধি, যা স্বল্পমেয়াদে সুফলদায়ক হবে। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি মধ্যমেয়াদের জন্য কার্যকর হবে।

যে কোনো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করেন শিক্ষকরা। তাই বর্তমান শিক্ষাক্রমে শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে পাঠদান করতে হবে। দেশ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা বৈষম্য রয়েছে। প্রতিটি সরকার শিক্ষাকে কীভাবে জাতি গঠন ও উন্নয়নের ভিত্তি হিসাবে গড়ে তোলা যায় সে লক্ষ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সিলেবাস পরিবর্তন, শিক্ষার কারিকুলাম ও পদ্ধতি নিয়ে যত চিন্তা-ভাবনা অর্থ ব্যয় হয় সে তুলনায় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরি করণে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের নানা বৈষম্য বিদ্যমান। উন্নত রাষ্ট্রে শিক্ষকদের যথেষ্ট সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হয়। তাদের কোনো বিষয়ে আন্দোলন করতে হয় না।

শিক্ষার মাধ্যমে যেহেতু একটি দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যায় মানুষকে মানবীয় গুণাবলিতে গুণান্বিত করে মূল্যবোধ জাগ্রত করে তাই শিক্ষাব্যবস্থায় অর্থ বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষকরা যেমন অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবি তেমনি তাদের সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হয়। আমাদের দেশেও অনেক দক্ষ ও মেধাবি শিক্ষক রয়েছেন যারা শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি উন্নত আধুনিকীকরণ, বিজ্ঞান মনস্ক ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে পারে একটি উন্নত যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা যা বাস্তবায়ন করবেন শিক্ষকরা।

কিন্তু শিক্ষকরা যদি আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে তাহলে শ্রেণিকক্ষে তারা চিন্তিত মন নিয়ে কীভাবে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর সরকারের ওপর বর্তায়। পরিশেষে বলব, দেশ ও জাতির মানব উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেখা গেছে শিক্ষায় যে দেশ যত এগিয়ে সে দেশ উন্নতির শিখরে আরোহন করেছে। শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ জাতি পরিবর্তিত ও একই সঙ্গে উন্নত হয়। এটাই সর্বজন স্বীকৃত। তাই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো শুধু নয়, সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে তা ব্যবহার করে তরুণদের প্রস্তুত করার আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা শুধু যে মানব জাতির পরিবর্তন ঘটায় তা নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। আর্থসামাজিক, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের উন্নয়নের বিকল্প নেই। দীর্ঘ দিনের বঞ্চনা, বৈষম্য দূরীকরণ ও শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করা সম্ভব। এছাড়া শিক্ষার্থীর সুস্বাস্থ্য রক্ষায় খেলার মাঠ, স্যানিটেশন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেয়া দরকার, যা অনুপস্থিত রয়েছে বিগত বাজেট পরিকল্পনায়। সুতরাং সেদিক বিবেচনায় এবারের পরিকল্পনায় শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ খুবই জরুরি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত