ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসলেই মনটা দিগি¦দিক ছুটে চলে। এবার ঢাকা থাকতেই একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঈদের ছুটিতে গ্রামে গেলে মাদারগঞ্জ হাইওয়ে রোড ঘুরে আসব। কয়ড়া বাজার থেকে অটোরিকশাযোগে রওনা দিলাম ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন ৫টা। আমি অটোরিকশাওয়ালার বাম পাশে বসে গল্প করতে করতে যাচ্ছি।
যেতে যেতে সে বলল; তারতা পাড়া গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে জামালপুর একদিন এই গ্যাসের জন্য বিখ্যাত হবে উন্নয়ন হবে এই যে সড়ক এ সড়ক ২৬ ফিট চওড়া হবে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে। গল্প করতে করতে এসে পৌঁছে গেলাম। নয়ন ভরে দেখছি সব বয়সের লোক সবার হাতেই দামি ফোন সুন্দর মনোরম দৃশ্যগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করছে যেন স্মৃতি গাঁথা হয়ে থাকবে।
মাদারগঞ্জ উপজেলাতে এতো সুন্দর হাইওয়ে রোড নির্মাণ হয়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের মন-প্রাণ আত্মা জুড়িয়ে যায়।
বিশেষ করে যারা ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসছে তাদের জন্য আরও বেশি আনন্দ উল্লাসে মুখরিত হাইওয়ের চারপাশ। আপনি মাদারগঞ্জের আশপাশে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন। পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে খোলা হাওয়া চারপাশের পরিবেশ আপনাকে সত্যি মুগ্ধ করবে।
প্রচণ্ড তাপমাত্রা সঙ্গে পানি নিয়ে যাবেন। হরেক রকম খাওয়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে স্থানীয় কৃষকরা তালের শাঁস, কুচকুচে কালো জাম, কচি ডাব, বাদাম, আইসক্রিম। এখানেও সূর্য ডোবা দৃশ্য দেখা যায়। ভ্রমণ করলে সত্যি মনে থাকে, বাংলার মুখ, বাংলাদেশ আমার রূপের রাণী রূপের যে তার নাইকো শেষ। ভ্রমণ নিয়ে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই একটু সময় বের করে বেড়িয়ে পড়ুন দুর্দান্ত পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। প্রকৃতি আপনাকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দিবে। ঘরবন্দি জীবন ইট-পাথরের শহরে আর কত। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় রয়েছে পর্যটক কেন্দ্র। ভ্রমণ করুন খোলা আকাশ দেখুন খোলা হাওয়া উপভোগ করুন সৃষ্টিকর্তার বিশেষ অবদান অবশ্যই আপনাকে মুগ্ধ করবে। বাংলাদেশের বহুদর্শনীয় লোকেশন রয়েছে। একটা বিষয় পরিষ্কার করে নিচ্ছি। মাদারগঞ্জ হাইওয়ে রোড এসে এখানে মানুষের যে উচ্ছ্বাস আনন্দ দেখেছি সত্যি আমি আপ্লুত হয়েছি। অতএব ভ্রমণ করুন। মন কে উৎফুল্ল রাখুন।
কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক