সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন একটু বেশিই সরব অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। জুলাই গণঅভুত্থ্যানের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে সরব তিনি। যেসব কারণে বাঁধন কখনও হয়েছেন সমালোচিত আবার কখনও প্রশংসিত। তবে অভিনেত্রী যেন এসবের কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। তিনি চলেন নিজ গতিতেই। সম্প্রতি নারীর অবমাননা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাঁধন। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
বাধনের তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি; কিন্তু আমি সেখানে মরতে রাজি নই। আমি এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ। আমি এমন ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, যেখানে প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা- যা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাসেই উঠে এসেছে বাঁধনের প্রতিবাদী কণ্ঠ। হঠাৎ কেন এমন উপলব্ধি তার? অভিনেত্রী জানালেন, ‘এটা হঠাৎ কোনো উপলব্ধি নয়, বরং বহুদিনের ভাবনা। আমি এমন পরিবারেই বড় হয়েছি, যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার ছাপ স্পষ্ট। আমার নিজের বাবাও সেই ব্যবস্থার অংশ ছিলেন।
এর আগেও এক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়মণ্ডআমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’ তিনি আরও লেখেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’