প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে কেন, এটা তো নাগরিক অধিকার। আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। এ কথা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। বিনা কারণে এগুলো হয়রানি করে মানুষকে। হয়রানি করা যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই হয়রানি করা, এটাকে উল্টে ফেলতে হবে। গতকাল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মধ্য বয়সে কিংবা শেষ বয়সে কোথাও যাওয়া দরকার, পাসপোর্ট করা লাগবে। এজন্য জন্মনিবন্ধন লাগবে। সেই আমলে কে জন্ম নিবন্ধন করতো জানা নেই। কিন্তু পাওয়া যায়, পয়সা দিলে ঠিকই চলে আসে। পয়সা দিলে যখন আসে, না দিলেও আসার কথা। এই সিস্টেম আমরা করতে পারছি না কেন, এটা তো আসলে নাগরিকদের অবশ্য প্রাপ্য। সরকার ব্যবস্থা করতে পারে নাই বলে অজুহাত দিলে তো চলবে না। নিশ্চয়ই ব্যবস্থা আছে। কাজেই আমাদের সে ব্যবস্থা করতে হবে। জন্মসনদ যে যেই বয়সেই চায় তাকে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদশে জন্ম নেয়ার দলিল জন্মসনদ। সেটা না হলে এনআইডি পাওয়া যাচ্ছে না, এনআইডি না হলে পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। রাতারাতি করে ফেলার আশাও আমি করছি না। শুরু তো করতে হবে।’ এসময় প্রাথমিক শিক্ষায় করণীয় নিয়েও জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।