ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গুলশানে তল্লাশির নামে বাসা তছনছ, আটক তিন

গুলশানে তল্লাশির নামে বাসা তছনছ, আটক তিন

রাজ্বধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রাজ্বনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিনজ্বনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত মঙ্গলবার গুলশানে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর ‘তল্লাশির’ নামে মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে একদল ব্যক্তি, যাদের দাবি ওই বাড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের। ওই বাড়িতে ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জ্বনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে ‘তল্লাশি’ করার কথা বলছেন তারা।

প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গুলশান থানার ওসি, গুলশান জোনের ডিসি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা ঘটনাস্থল থেকে তিনজ্বনকে আটক করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শাকিল খন্দকার, জুয়েল খন্দকার, শাকিল আহমেদ।

পুলিশের বরাতে জানা গেছে, আটক শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ্ব করতেন। তিনিই জ্বনতাকে ‘এখানে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে’ বলে উসকানি দেন, যার ফলে এই হামলা ও তল্লাশি চালানো হয়। এর আগে, গত পরশু রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই অজুহাতে একদল লোক গুলশানের ওই বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। তবে সেসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানায়, এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় সতর্ক করে দিয়েছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে নিকটবর্তী থানাকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে এবং জ্বনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান বলেন, এটি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাড়ি। যার সঙ্গে ২০-২৫ বছর আগেই তানভীর ইমামের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বলে শুনেছি। বাড়িতে টাকা ও অস্ত্র আছে অভিযোগ করে ছাত্র পরিচয়ে কিছু মানুষ মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা ধারণা করছি, এর সাথে কিছু অছাত্রও ছিল। পুলিশ ওই বাড়িতে যাওয়ার পর তারা আবার মিছিল করতে করতে বেরিয়ে যায় জানিয়ে পরিদর্শক মোখলেছুর বলেন, বাড়ির সবকিছু তছনছ করে ফেলা হয়েছে। আমরা আসতে আসতেই তারা তছনছ করে ফেলেছে। বাড়ির কিছু খোয়া গেছে কি না বা কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা মালিকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নিশ্চিত হতে পারব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত