রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল বিকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান । তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৪৪ জন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আটজন ক্রিটিক্যাল, ১৩ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট অবস্থায় রয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি রোগীর বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হয়েছে, কে কী ওষুধ পাবে, কার অপারেশন লাগবে, কার ড্রেসিং পরিবর্তন হবে ইত্যাদি। ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, বার্নের ম্যানেজমেন্ট একটি ডায়নামিক প্রসেস। ঘণ্টায় ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি রোগীকে ১২ ঘণ্টা পর পর পুনরায় অ্যাসেস করা হবে এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভারতের চিকিৎসক : দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকায় এসেছে ভারতের একটি চিকিৎসক দল। বুধবার রাতে তাদের বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভারতের শীর্ষ রাম মনোহর লোহিয়া ও সফদারজং হাসপাতাল থেকে এসেছেন। পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় যাদের বিশেষ সুনাম রয়েছে। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দুইজন অভিজ্ঞ নার্স। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোগীদের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে ভারতে নিয়ে গিয়ে বিশেষায়িত চিকিৎসার সুপারিশ করা হবে। তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রয়োজনে ভারত থেকে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় আসতে পারে।
চীনের চিকিৎসক: আহতদের চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চোং সি জ্যাক ঢাকায় পৌঁছান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে চীনের জরুরি মেডিকেল টিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছে। এই টিমে পাঁচজন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং নার্স রয়েছেন।