প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আগে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দুই মাস আগে তপশিল হবে। তখন নির্বাচন কবে, মনোনয়ন পত্রসহ এ সংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে।’
গতকাল শনিবার সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সভা কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় পূর্বে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, বহুবিধ ও নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়ানো ও এআই-এর অপব্যবহার আগামী নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। এটাকে মডার্ন যুগের মডার্ন থ্রেট (হুমকি) মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও ভোটকেন্দ্রে মানুষকে আনাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা জাতিকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই, এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিদ্যমান আইন না বদলানো পর্যন্ত আগের নিয়মেই নির্বাচন হবে। কবে নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে আপনারা জানতে পারবেন কবে নির্বাচন হবে। তার আগে বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া যখন নির্বাচনের তপশিল ঘোষিত হবে তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন দপ্তরকে বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নেই। আমরা একটি ইন্টেরিম সরকারের অধীনে আছি। তাই আমাদের দলীয় কোনো চাপ নেই। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখার জন্য নানাবিধ কাজ চলছে। এসময় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ ফরাজীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় করেন।