ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নিহতদের বাড়ি নোয়াখালীতে রোগী নিতে এসেছিলেন তারা

মৌচাকে প্রাইভেটকারে দুই লাশ
নিহতদের বাড়ি নোয়াখালীতে রোগী নিতে এসেছিলেন তারা

রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ের একটি প্রাইভেট কার থেকে যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের পরিচয় জানা গেছে। পুলিশ বলছে, জাকির ও মিজান নামের ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে এলাকায় নেওয়ার জন্য তারা ঢাকায় এসেছিলেন।

জাকির ও মিজান দুজনেরই বয়স ৪০–এর কাছাকাছি। গতকাল সোমবার দুপুরে গাড়ির ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে। তাদের হত্যা করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলছে না পুলিশ। হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, হাসপাতালের রেকর্ড বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে গাড়িটি গ্যারেজে প্রবেশ করে। এর পর থেকে সেটি বেজমেন্টের (ভূগর্ভস্থ) তৃতীয় তলার এক কোনায় পার্ক করা ছিল। সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলের সিকিউরিটি ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পার্কিংয়ের জায়গা খালি আছে কি না, দেখার জন্য তিনি বেজমেন্টের তৃতীয় তলায় যান। এসে দেখেন, গাড়ির ভেতরে দুজন আছেন। বাইরে থেকে কয়েকবার ডাকাডাকি করলেও সাড়া না পেয়ে দরজা খোলেন। তখন দেখেন, তারা মারা গেছেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়।

মিজানুর রহমান বলেন, দুজনের মধ্যে একজন চালকের আসনে, আরেকজন চালকের পেছনের আসনে ছিলেন। চালকের সিট পেছন দিকে হেলানো ছিল।

নিহতদের মধ্যে জাকির গাড়ির চালক এবং মিজান তার আত্মীয় বলে পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন। তিনি বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাড়ির মালিককে শনাক্ত করতে পেরেছি। মালিক সৌরভের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায়। মৃত দুজনের বাড়িও একই এলাকায়। তারা হাসপাতালে রোগী নিতে এসেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে জানিয়ে উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত