
প্রশাসন ক্যাডারের পর এবার অন্যান্য ক্যাডারে ‘বঞ্চিত’ ৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি। যাদের পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন কর্মকর্তা আছেন। এসব কর্মকর্তা ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন। আগের কোনো তারিখ থেকে কোনো বিষয় কার্যকর করা হলে তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ বলা হয়।
গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেন পদোন্নতি?‘বঞ্চিত’ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান। এটি কমিটির দ্বিতীয় প্রতিবেদন। এই কমিটির প্রথম প্রতিবেদনের সুপরিশের আলোকে প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকরিতে বঞ্চনার শিকার এবং এই সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুই ধাপে তার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। প্রথম ধাপে উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার আবেদনগুলোর পর্যালোচনা করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য যেসব ক্যাডারে তৃতীয় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে, সেসব ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা হয়। এর মধ্যে ৬৮টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত ছিল। আর ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ ছিল। পরে কমিটি ২১০টি আবেদন পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনায় কমিটি ৭৮ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ৬ জন কর্মকর্তাকে তিন ধাপ, ১৭ জন কর্মকর্তাকে দুই ধাপ এবং ৫৫ জন কর্মকর্তাকে এক ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে। ১৩২ জন কর্মকর্তাকে কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করেনি। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।