ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ডাকসু নির্বাচন

‘নির্বাচন কমিশনে থাকা শিক্ষকরা একপক্ষীয় আচরণ করছেন’

‘নির্বাচন কমিশনে থাকা শিক্ষকরা একপক্ষীয় আচরণ করছেন’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন একপক্ষীয় আচরণ করছে। কমিশনে থাকা শিক্ষকেরা একটি নির্দিষ্ট ছাত্রসংগঠনের পক্ষে কাজ করছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম।

আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে থাকা শিক্ষকদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে; কিন্তু আমরা তাঁদেরকে শুধুই শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই। ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা। সারা দেশের মানুষ ডাকসু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সুতরাং এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে।’ আবু সাদিক আরও বলেন, কমিশনে থাকা শিক্ষকদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকা দোষের কিছু নয়। কিন্তু এই আদর্শ লালন করতে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট ছাত্রসংগঠনকে সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে একটা বিরোধী অবস্থান তৈরি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এ সময় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করব। নির্বাচিত হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে আর আবাসন–সংকটে পড়তে হবে না। খাদ্যের নিরাপত্তা থাকবে। এক শ বছরের সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। এসব সংকট সমাধানে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানিয়ে আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো জ্ঞান উৎপাদন করা, জ্ঞান বিতরণ করা, জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে দেওয়া। সেই কাজটা আমরা করতে পারিনি। আমরা নির্বাচিত হলে এই জায়গায় কাজ করব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত