
বান্দরবান শহরের বাস স্টেশন থেকে নতুনভাবে করা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সহজে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয় টানেল। দুই বছরের মধ্যেই এগারো কোটি টাকা দিয়ে নির্মিত টানেলে চুঁইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে। টানেলের মাঝখানে চুইয়ে পড়া পানি জমে গাড়ি চলাচলের কারণে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্তও। ভেতরে রাস্তাজুড়ে কাদামাখা পানি। বাধ্য হয়ে এই কাদামাখা পথ মাড়িয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। টানেলের বাইরে উভয়পাশেও যত্রতত্র পার্কিং করা গাড়ি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা মাত্র দুই বছর আগে কোটি কোটি টাকায় তৈরি করা গাড়ি চলাচলের একটা টানেলের রাস্তা। টানেলের কয়েক গজের সামনেই কেন্দ্রীয় বাস টার্নিমালটি। টানেল তৈরি করার আগে দুই পাহাড়ে মাঝখানে এইটুকু পথে প্রচুর কাদামাখা ছিল। বর্ষাকালে এই রাস্তা চলাচলে প্রচণ্ড ঝুঁকিও ছিল। অনেক সময় ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়েও থাকত। বাস স্টেশন থেকে ট্রাফিক মোড় ঘুরে টার্মিনালে যেতে হত গাড়ি চালকদের। নির্মাণের শুরুতে এটি সংযোগ সড়ক হিসেবে ছিল। পরে দেখতে টানেল মত হওয়ায় সবার কাছে ‘বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেল’ নামেই পরিচিতি পায়।
টানেলটি নির্মাণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুটের কিছু বেশি। এই টানেলটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শুরু হলেও দুই দফা অর্থ বরাদ্দের পর ২০২০ সালে জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অর্থ বরাদ্ধের পর ২০২৩ সালে অক্টোবরে শেষ হয়। সে বছর ২৭ অক্টোবরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং টানেলটি উদ্বোধন করেন।