
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে একইসঙ্গে তিনি নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির অভিযোগও তুলেছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন হয়েছে, যারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানাই- এটাই গণতন্ত্রের নীতি। তবে দীর্ঘদিন পর এই যাত্রায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জয়ী হয়েছে। অথচ তারা তো অংশই নেয়নি। ছাত্রদল দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং যারা জয়ী হয়েছেন, তাদেরও অভিনন্দন জানাই।
আগামী দিনের সংগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২৪’র পর সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের সংগ্রাম। গণতান্ত্রিক ও সহনশীল সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জাতীয় রাজনীতিতে ডাকসুর প্রভাব প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বড় দলের ব্যানারে নির্বাচিতরা সংসদে গেছেন, কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিতরা এখনো পারেননি। এমন ছাত্ররাজনীতি কেউ চায় না, যে রাজনীতি ফ্যাসিস্ট তৈরি করে।
নারীদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, পরিবারে নারীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সংগঠনকে স্লোগাননির্ভর না করে পরিবারমুখী ও প্রভাবশালী কার্যক্রমে মনোযোগী হতে হবে। নারীর অগ্রগতির জন্য বিশেষ পরিকল্পনার আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে নারীদের উন্নয়নে পরিকল্পনা নেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি ৫ শতাংশ নারীপ্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। তখন সংরক্ষিত করেন। বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের প্রার্থীরা ভোটে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করেন। এই নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করায় আমি অন্তর্বর্তী সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিকসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ডাকসুর ইলেকশনে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী ইন্তেকাল করায় আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবার-পরিজনদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।