ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাড়ছে বিরোধ, বাড়ছে শঙ্কা

‘বিএনপির উচিত ছিল আগেই সংস্কার কমিশন বয়কট করা’

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে গভীর ফাটল : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটালেও এখন ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নিয়ে গণভোট ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে চরম বৈরিতা তৈরি হয়েছে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের একই দিনে নাকি আগে- এ নিয়ে কথার লড়াইয়ে দল দুটির মধ্যকার রাজনৈতিক দূরত্ব দিনদিন বাড়ছে বৈ কমছে না। বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। জামায়াতের দিকে আঙুল তুলে দলটির মহাসচিব বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যদিকে জামায়াত বলছে, বিএনপির এই অবস্থান তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় এবং নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস। দলটির দাবি, নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এই বিপরীতমুখী অবস্থানে সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়, এর দিকে এখন সারাদেশের দৃষ্টি
‘বিএনপির উচিত ছিল আগেই সংস্কার কমিশন বয়কট করা’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বিএনপি যদি সংস্কার না মানে, সংস্কার না চায় তাহলে তাদের শুরুর আগেই বলা উচিত ছিল- আমরা এই কমিশনে অ্যাটেন্ড করব না, আমরা এটাকে বয়কট করছি। কিন্তু এতগুলো সভায় উপস্থিত থেকে এখন এই কথা বলা আমার মনে হয় দায়িত্বহীনতার পরিচয়। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা সেন্ট্রাল হসপিটালের অডিটোরিয়ামে নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র পরিচালকদের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি সংস্কার প্রস্তাব না মানে তবে এটা তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয়। নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সম্পর্কে জনগণের মাঝে সংশয় তৈরির অপপ্রয়াস।

ডা. তাহের বলেন, যদি নির্বাচন না হয় তাহলে যারা পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, তারাই একটা সুযোগ নেবে। বিগত সরকারের যে বাংলাদেশ, সংস্কারবিহীন যে বাংলাদেশ ছিল, বিএনপি মনে হয় সেই জায়গায় ফিরে যেতে চায়। বাংলাদেশকে আওয়ামী জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে যেতে জনগণ দেবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে যদি সরকার সরে যায়, তাহলে এটা পরিষ্কার হবে যে সরকার আর নিরপেক্ষ নেই। এ সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায় এবং কোনো দলের প্রতি যদি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে তাহলে সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হবে। বিএনপি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরপিওতে ইলেকশন কমিশন এবং এই সরকার দুই জায়গাতেই একটা ক্রস অ্যাপ্রুভড হয়েছে সেটা হচ্ছে কোনো একটি দল এককভাবে কিংবা জোট হিসেবে যদি নির্বাচন করে তাহলে তাদের নিজস্ব দলীয় মার্কায় নির্বাচন করতে হবে। এটাকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি। বহুদল অভিনন্দন জানিয়েছে। কারণ একটা দল যখন কেউ করে তার একটা আইডোলজি থাকে। এটা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়ে গেছে। হঠাৎ করে বিএনপি এসে বলে আমরা এটা মানি না। এখন তারা সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে। তাহলে তারা আরপিও মানে না। এসময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত