ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জিয়াউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

জিয়াউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

গুম ও হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি এ মামলায় জিয়াউল আহসানকে হাজিরের আবেদন করেন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে এ মামলায় ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।

এ মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপনের সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ৫০০-এর বেশি মানুষকে গুম করে হত্যা করার তথ্য এসেছে। এর মধ্যে ১০০-এর বেশি মানুষকে গুম করে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা: সজীব ওয়াজেদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যায় উসকানির অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স (আদালত কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী) নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এ মামলার অপর আসামি সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। গতকাল সকালে তাকে কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এদিন জয়েরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিল। এ জন্য দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে তিনি পলাতক থাকায় তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগের আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল সরকারি খরচে জয়ের জন্য স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেন।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর জয়কে হাজির করতে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। একইসঙ্গে আজকের দিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

ওইদিন পলকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী লিটন আহমেদ। তিনি আদালতকে জানান, পলককে সপ্তাহে একদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না এবং ১৫ দিনে একবার স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি চান তিনি। গত ৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই দুই আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। একইসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত