ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে বলে গতকাল মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়া হবে। আর শনিবার জীবিত ছয় জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, গত বৃহস্পতিবার চার জিম্মির লাশ, শনিবার ছয় জীবিত জিম্মি ও এরপর আরও চারজনের মুক্তি নিশ্চিত করতে মিসরের কায়রোতে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে জিম্মিদের কারও পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহে মিশ্র সংকেত দিয়েছে।
গাজাযুদ্ধের স্থায়ী অবসানের লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মৃত জিম্মিদের নাম প্রকাশের আগে তাদের শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা গত ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে কাতার। দেশটি মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতার কাজ করছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটি (দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা) এ সপ্তাহেই হবে।’ তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপের আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহে মিশ্র সংকেত দিয়েছে। গাজাযুদ্ধের স্থায়ী অবসানের লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। আটক কয়েক শ ফিলিস্তিনি ও বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
একের পর এক বাধা ও চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত চুক্তিটি কার্যকর আছে। কিন্তু বাকি ৬৪ জন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ ধাপে চুক্তির শর্তে যুদ্ধপরবর্তী গাজার প্রশাসনের রূপ কেমন হবে, সে বিষয়ও রয়েছে। আর এ বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বড় মতপার্থক্য রয়েছে।