ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি এবং ব্রিটেনে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাপূর্ণ মনোভাব বাড়তে থাকায় চলতি রমজানে যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা কঠিন সময় পার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। গত সোমবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টভিত্তিক সংস্থা অল পার্টি পার্লামেন্টারিয়ানের দেয়া ইফতার আয়োজ্বন ‘দ্য বিগ ইফতার’-এ যোগ দেন কেয়ার স্টারমার। ইফতার শুরুর আগে দেয়া সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে স্টারমার প্রথমেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন খাতে অবদানের জ্বন্য ব্রিটেনের মুসলিমদের ধন্যবাদ জানান।
তারপর ফিলিস্তিনের গাজার মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, গাজায় সংঘাত ও সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ব্রিটেনের মুসলিমরা যে গভীরভাবে ব্যাথিত, তা আমি জানি। আমি তাদের ব্যাথা অনুভব করতে পারি। এরপর যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের প্রতি বাড়তে থাকা ঘৃণাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্টারমার এবং এ জ্বন্য দেশের উগ্র ডানপন্থিদের দায়ী করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত গ্রীষ্মে সাউথপোস্ট শহরে তিন জ্বন অল্পবয়সী মেয়ে নিহত হওয়ার পর থেকে ব্রিটেনে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাপূর্ণ মনোভাব বাড়ছে। বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা এবং ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে এই মনোভাবকে প্রতিদিন উস্কে দিচ্ছে উগ্র ডানপন্থিরা। বর্তমানে ঘৃণার যে পরিস্থিতি, তাতে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।
সাম্প্রতিক এক জ্বরিপে জানা গেছে, ব্রিটেনের ইতিহাসে মুসলিমদের লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘৃণাপূর্ণ হামলা হয়েছে ২০২৪ সালে।
এটা আমাদের জ্বন্য একটি ধাক্কা এবং প্রচণ্ড ধাক্কা। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল যে ধীরে ধীরে ব্রিটেনে অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি ঘৃণাপূর্ণ মনোভাব কমে আসবে, কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি পুরো উল্টোচিত্র। প্রতিদিন মানুষজ্বন বাড়ির বাইরে গেলেই ঘৃণাপূর্ণ কথাবার্তা বা হামলার শিকার হচ্ছে। নিজেদের, পরিবারের সদস্যদের এবং সন্তানদের জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিদিন তাদের উদ্বেগ, ভয়-ভীতি বাড়ছে। অবশ্য এটাই শেষ কথা নয়। সাউথপোস্ট শহরে গত গ্রীষ্মে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তখন সেখানকার একটি মসজিদের দেয়াল ভেঙে ফেলেছিল উত্তেজিত জ্বনতা। পরে তারাই আবার সেটি মেরামত করে দিয়েছে। এটিই আসলে যুক্তরাজ্যের জ্বনগনের স্পিরিট।