ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া : জয়শঙ্কর

নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া : জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি এবং আমি মনে করি, এরইমধ্যে অনেকাংশে আমরা এটিকে গুছিয়ে এনেছি।’ গত বুধবার ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি এক সাংবাদিক কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেন যে, ভারত ‘অবৈধভাবে কাশ্মীর দখল’ করেছে এবং সেখানে ‘সত্তর লক্ষ কাশ্মীরিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দশ লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে’। তিনি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করবেন?

এস জয়শঙ্কর জানান, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারত এরইমধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে, আমরা বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি।’ প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে গতিশীল করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন। এখন আমাদের সামনে আছে চতুর্থ ধাপ। এই ধাপে আমাদের লক্ষ্য হলো জম্মু-কাশ্মীরের চুরি যাওয়া অংশ উদ্ধার করা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের যে অংশটি পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে, সেটিকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যদি এই লক্ষ্য আমরা সফলভাবে অর্জন করতে পারি, সেক্ষেত্রে কাশ্মীর ইস্যু নামে আর কোনো সংকট থাকবে না। এটিই এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান। ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের সময় থেকে কাশ্মির সংকটের শুরু। দুই রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণের সময় জম্মু-কাশ্মির কোন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হবে- জম্মু-কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিংয়ের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন ব্রিটেনের শাসকগোষ্ঠী। নানা দিক বিবেচনায় হরি সিং জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে; কোনো দেশের অংশ হবে না। কিন্তু ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভের পর জম্মু-কাশ্মীর দখলে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের অনতিদূরে পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত