যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী যদি আর কোনো আক্রমণ চালায়, তবে তার পরিণতি ইরানকেই ভোগ করতে হবে। ট্রাম্পের ‘যুদ্ধংদেহী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এই মন্তব্যকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে তেহরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। ইরানের জাতিসংঘ দূত আমির সাঈদ ইরাভানি চিঠিতে অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তারা ‘অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।’
গত সোমবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে ইয়েমেনের তেহরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা যদি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তবে এর জন্য ইরান সরাসরি দায়ী থাকবে। ইরান এই মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। ট্রাম্প ২.০ প্রশাসন এরই মধ্যে আগ্রাসী ভাষায় ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, বিশেষ করে হুথিদের হামলা, পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের প্রভাব বিস্তার নিয়ে। ট্রাম্প প্রশাসন আগেই পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছিল। এবার ইরানের পরমাণু সক্ষমতা আরও বেড়েছে, যা সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।