
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বা ইউএনএইচআরসি’তে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করায় ব্রিটেন ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ও নারীবিষয়ক মহাপরিচালক ফোরুজান্দে ভাদিয়াতি ব্রিটিশ ও জার্মান রাষ্ট্রদূতদের তলব করেন বলে ইরান জানিয়েছে। ভাদিয়াতি ব্রিটিশ ও জার্মান রাষ্ট্রদূতদের বলেন, তাদের সরকারগুলো এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক’ তৎপরতা চালিয়েছে। ইরানের এই পদস্থ কূটনীতিক জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, দেশটি ইরানকে চাপে রাখার জন্য মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি মানবাধিকারের বিষয়ে জার্মানির অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীতের কথা স্মরণ করে বলেন, ১৯৮০-এর দশকে জার্মানি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরাকের তৎকালীন সাদ্দাম সরকারের হাতে রাসায়নিক অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। অন্যদিকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ভাদিয়াতি বলেন, ইরানি জনগণ তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ব্রিটিশদের অবৈধ হস্তক্ষেপের কথা এত দ্রুত ভুলে যায়নি। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠনগুলোর সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দুই রাষ্ট্রদূত ইরানের এ প্রতিবাদের কথা অবিলম্বে তাদের নিজ নিজ সরকারকে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রসঙ্গত, ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির ম্যান্ডেট নবায়ন করার উদ্দেশ্যে ইউএনএইচআরসি’র ৫৮তম অধিবেশনে ইরানের বিরুদ্ধে ওই খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।