আরব বিশ্বের একজন খ্যাতনামা লেখক ও বিশ্লেষক ‘আবদুল বারী আতাওয়ান’ আরব দেশগুলোর নেতাদের সমালোচনা করে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রশংসা করে এক নিবন্ধে লিখেছেন: ‘বিজয়ের জন্য ধৈর্য প্রয়োজন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় এটি নিকটবর্তী।’ রাই আল-ইয়াওমে প্রকাশিত নিবন্ধে আব্দুল বারী আতাওয়ান গাজা উপত্যকার উপর ইসরাইলের হামলা জোরদার এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইলের শাহাদাতের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন যে, হামাস নেতা আল-বারদাউইল, ইয়াসের হারব এবং এসাম আল-দালিসকে পাঁচ তারকা হোটেল বা প্রাসাদে শহিদ করা হয়নি বরং গাজার অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো একটি তাঁবুতে শহিদ করা হয়েছে যেখানে বিদ্যুত ও পানি নেই। এই তাঁবুগুলোতে পানীয় বা অজুর জন্য কোনো পানি নেই। ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, তিনি আরও বলেছেন: ‘ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ এবং মানবিক সাহায্য বন্ধের কারণে গাজায় ক্ষুধা তীব্র আকার ধারণ করেছে।’ ইসরাইলের এই পদক্ষেপগুলোর লক্ষ্য স্পষ্ট- আর তা হচ্ছে, গাজাকে একটি বসবাসের অযোগ্য অঞ্চলে পরিণত করা, যাতে তাদের দেশান্তরিত হতে বাধ্য করা যায়। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন: ‘আপনি নিজেই বলছেন যে গাজা একটি বড় উন্মুক্ত কারাগার, আমরা এর দরজা খুলে দেব যাতে আপনি বিশ্বের উন্নত অঞ্চলে যেতে পারেন!’ ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে আরব বিশ্বের নীরবতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আতাওয়ান আরও বলেন: ‘গাজায় শহীদের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এখন এটা স্পষ্ট নয় যে, কত সংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হলে আরব নেতারা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে কিংবা ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে একজন প্রহরীকে বহিষ্কার করতে পারে। রাই আল-ইয়ায়ুমের সম্পাদক মিশরের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ হুইটেকারের মন্তব্যের কথাও উল্লেখ করে জোর দিয়ে বলেছেন: হুইটেকর মিশরের জনগণ, নেতা এবং সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। তিনি আরও বলেন: ‘মার্কিন সরকার দুর্বলদের সম্মান করে না, তাদের মূল্য দেয় না এবং আরব ও মুসলমানদের ঘৃণা করে।’