সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিন্নাদাইর গ্রামের শিশু লামিয়াকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
পরিত্যক্ত একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী মিনা দম্পতি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরি করে। এজন্য তাদের ২ মেয়েকে একই গ্রামের নানা আব্দুর রশিদের বাড়িতে রেখে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বড় মেয়ে লামিয়া নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় এবং বহু খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান মেলেনি। ওইদিন রাতেই এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করেন নানা।
বুধবার সকালে একই গ্রামের রুপা বেগমের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তার লাশের সন্ধান মেলে এবং পুলিশ ও স্থানীয়রা ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে মুখে টেপ পেঁচানো ও হাত পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার লাশ ট্যাংকে ফেলা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় একই গ্রামের ৪ জনকে আটক করেছে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। তবে এ মামলার তদন্ত স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে এ নির্মম শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।