ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ইমাম খামেনি

বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ইমাম খামেনি

ইমাম খামেনীর কাছে ‘ইসলামী ঐক্যের’ গুরুত্ব এতটাই যে তিনি ইসলামী ঐক্যকে একটি ‘কৌশলগত বিষয়’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন এবং সর্বদা ইসলামী জাতির মনীষী, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের পবিত্র কোরআনের আদেশ ও শিক্ষা এবং ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামী বিপ্লবের নেতার চিন্তাভাবনায় মুসলমানদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং মতবিরোধ ও বিভাজন এড়িয়ে চলাকে শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং ‘মুসলিম বিশ্বের হারানো স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার’ জন্য একটি অনুকূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পার্সটুডের আলোচনার এই অংশে মুসলিম ঐক্য সম্পর্কে ইসলামী বিপ্লবের নেতার কিছু নির্বাচিত বক্তব্য তুলে ধরা হলো।

মুসলিম ঐক্য, কৌশলগত বিষয় : ১৯৯০ সালের ১৪ এপ্রিল বিশ্ব আহলে বাইত (আ.)-এর সম্মেলনের সদর দপ্তরের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইমাম খামেনেয়ী মুসলিম ঐক্যকে একটি কৌশলগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন এবং বলেন যে ইসলামী প্রজাতন্ত্রে মুসলিম ঐক্যের বিষয়টি একটি মৌলিক বিষয়।

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্য : ১৯৯৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপ্লবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিপ্লবের নেতা বলেন, ‘মুসলিম জাতিগুলোর মধ্যে ঐক্যের অর্থ হলো তারা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে, একে অপরকে সাহায্য করবে এবং এই জাতিগুলোর মধ্যকার নিজস্ব পুঁজি বা সম্পদ একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না।’ ১৯৯৯ সালের ২রা অক্টোবর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইমাম খামেনি শত্রুকে চিনতে পারার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং মুসলিম ঐক্যকে নষ্ট করার জন্য শত্রুদের প্রচেষ্টার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘মহান ইসলামী আন্দোলনের সামনে শত্রু দুর্বল বোধ করে, অতএব, তারা সব ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, বিভিন্ন আক্রমণ, মুসলিম জাতি ও দেশগুলিকে একে অন্যের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। ইসলামী বিশ্বের ঐক্য বজায় রাখার উপায় হল নিজেদের ঐক্য বজায় রাখা।’

প্রয়োজন ধর্মীয় ভেদাভেদ দূরে রাখা : বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম সমাজগুলির সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হল ধর্মীয় পার্থক্য। ইসলামী বিপ্লবের নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলি এমন এক সময়ে তীব্রতর হয়েছে যখন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়েও বেশি।’ ইসলামী যুক্তফ্রন্ট গঠন : নিঃসন্দেহে, ইসলামী বিশ্বের সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা এবং রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ফ্রন্ট গঠন। আয়াতুল্লাহ খামেনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যখনই, ইতিহাস জুড়ে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ ছিল, তাদের বক্তব্যে সততা ও ঐক্য ছিল এবং ইসলাম ও, কোরআনকে ধারণ করে কাজ করেছিল তখন শত্রুদের কুটকৌশল মুসলমানদের কাজের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি এবং তারা শয়তানী শক্তির সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত