ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিন্ধুসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি পাবে না পাকিস্তান

বললেন মোদি
সিন্ধুসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি পাবে না পাকিস্তান

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো (অভিন্ন নদ-নদী) থেকে পাকিস্তান আর কোনো পানি পাবে না। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলার জেরে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে এ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মোদি এ কথা বলেন। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য রাজস্থানের একটি জনসভায় মোদি বলেন, ‘প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে চড়া মূল্য দিতে হবে...পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকেও মূল্য দিতে হবে, পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও মূল্য দিতে হবে।’

পাকিস্তানের প্রধান আইন কর্মকর্তা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ইসলামাবাদ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। তবে ভারতকে অবশ্যই কয়েক দশকের পুরোনো পানিবণ্টন চুক্তি মেনে চলতে হবে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি গত মাসে স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। পেহেলগামে হামলার জেরে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানে অভিন্ন নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার যেকোনো পদক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি পাকিস্তানের কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় ৮০ শতাংশ পানির নিশ্চয়তা দেয়। আর এসব পানি আসে ভারত থেকে প্রবাহিত তিনটি নদী থেকে। পেহেলগাম হামলার জেরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুটি গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছিল। ১০ মে তারা একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ান রয়টার্সকে বলেন, ‘পাকিস্তান আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ভারত যেকোনো উদ্বেগের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমরা আলোচনা করতে পারি।’ মনসুর উসমান জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত পাকিস্তানকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সিন্ধু পানিচুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বলেন, আলোচনা চুক্তির শর্তের আওতার মধ্যেই হতে হবে।

মনসুর উসমান আরও বলেন, ইসলামাবাদ মনে করে, চুক্তিটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। কোনো পক্ষ একতরফাভাবে এটি স্থগিত করতে পারে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত