ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কারণ তারা চুক্তি মেনে চলেনি। এমনটাই মন্তব্য করেছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম। গত রোববার লেবাননের ‘প্রতিরোধ ও মুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বক্তৃতায় এ কথা বলেন শেখ নাইম কাসেম। বক্তৃতার শুরুতে নাইম কাসেম বলেন, ‘প্রতিরোধ ও মুক্তি দিবস’ এই অঞ্চলে ও বিশ্বে লেবাননের মর্যাদাকে মুকুট পরিয়েছে। এই দিবস দুর্বল লেবাননকে একটি শক্তিশালী দেশ করে তুলেছে।’
হিজবুল্লাহ নেতার মতে, ইসরায়েল ১৭ মে চুক্তি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তবে প্রতিরোধ বাহিনী তাতে বাধা দিয়েছে। ‘১৯৮২ সাল থেকে ইসরায়েলিরা বুঝতে পেরেছিল যে, তারা লেবাননের ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন করতে পারবে না।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েল আরেকটি চুক্তি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু লেবানন তা প্রত্যাখ্যান করে এবং দখলদার বাহিনী তাদের সহযোগীদের পেছনে ফেলে রাতের বেলা পালিয়ে যায়। এটি প্রতিরোধ এবং ত্যাগী জনগণের জন্য একটি মহান বিজয়, যারা দক্ষিণ লেবানন থেকে নিঃশর্ত প্রত্যাহারের মাধ্যমে ইসরায়েলকে চূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ লেবাননের মুক্তি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক পরিবর্তন করেছে কারণ এটি আমাদের হতাশা থেকে আশায় নিয়ে গেছে।’ নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননে ইসরায়েলের সম্প্রসারণের ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। বিজয়ের যুগ ফিলিস্তিনে এমন একটি রূপান্তর এনেছে যা শত্রুকে বিলুপ্তির পথে নিয়ে গেছে।’
হিজবুল্লাহ নেতা আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে লেবানন থেকে সরে যেতে হবে, তার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পৃষ্ঠপোষকতার দায় আমেরিকার।’ কাসেম আরও বলেন, ‘গাজা ও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনি মডেলের কারণেই আমেরিকা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। যদি রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে অন্যান্য বিকল্পও সামনে রয়েছে।’
হিজবুল্লাহ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, ‘আমেরিকা লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে, এবং যুদ্ধের সময় ইসরায়েল যা অর্জন করতে পারেনি তা এখন আমেরিকা অর্জন করতে পারবে না।’ ‘ইসরায়েলের শর্তপূরণ করা হবে না। কেউ আমাদের হুমকি দিতে পারবে না। জয় অথবা শাহাদাত- আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’