ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে ‘দ্য টাইমস অব ইসরায়েল’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং জর্ডান উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় সেনাবাহিনী জানায়, তারা সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’-এর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাইরেন বাজার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জরুরি হেল্পলাইনে কল করে অনেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা ইসরায়েলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে হামলার পাশাপাশি মূল ভূখণ্ডেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে তারা। তবে অধিকাংশ হামলা ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হচ্ছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন, যাদের অনেকেই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই সহিংসতা ও উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো কার্যকর লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।