
যেকোনো সময় ন্যাটো ভূখণ্ডে সীমিত পরিসরে হামলা চলানোর সক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার। জার্মানির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আলেকজান্ডার সলফ্রাংক এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার বর্তমান সামরিক শক্তি ও যুদ্ধক্ষমতা বিবেচনা করলে দেখা যায়, রাশিয়া চাইলে ন্যাটোর ভূখণ্ডে ছোট পরিসরে আক্রমণ চালাতে পারে। তিনি আরও বলেন, এটি হবে সীমিত ও আঞ্চলিক পর্যায়ের দ্রুত আক্রমণ খুব বড় কিছু নয়, কারণ রাশিয়া এখনও ইউক্রেনে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। জেনারেল সলফ্রাংক, যিনি জার্মানির যৌথ অভিযান কমান্ডের প্রধান এবং দেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তদারকি করেন। তিনি ন্যাটোর সাম্প্রতিক সতর্কবার্তার প্রতিধ্বনি করে বলেন, যদি রাশিয়া অস্ত্রশস্ত্র বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তবে ২০২৯ সালের মধ্যেই ন্যাটোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগ্রাসী মনোভাবের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণ ছিল ন্যাটোর বিস্তারবাদী হুমকির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ। বার্লিনের উত্তরে অবস্থিত তার সদর দপ্তরে কথা বলতে গিয়ে সলফ্রাংক বলেন, ইউক্রেনে ব্যর্থতা সত্ত্বেও রাশিয়ার বিমানবাহিনী এখনও উল্লেখযোগ্য যুদ্ধক্ষমতা ধরে রেখেছে এবং পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীও সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যদিও কৃষ্ণসাগর নৌবহর উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, রাশিয়ার অন্য নৌবহরগুলো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
সলফ্রাংক বলেন, স্থলবাহিনী ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে, কিন্তু রাশিয়া ঘোষণা করেছে তারা সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ লাখে উন্নীত করবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত ট্যাংক রয়েছে, যা দিয়ে একটি সীমিত আক্রমণ চালানো সম্পূর্ণ সম্ভব এমনকি আগামীকালই। ২০২৪ সালে জার্মানির যৌথ অভিযান কমান্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে সলফ্রাংক এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।