প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০৮ আগস্ট, ২০২৫
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মসজিদ নির্মাণ করেছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত আগত সব উম্মতকে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’ (তিরমিজি : ৫৯৪, সুনানে ইবনে মাজাহ : ৭৫৯, সুনানে আবি দাউদ : ৪৫৫)।
সদকায়ে জারিয়ার প্রতিদান : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মোমিনের মৃত্যুর পরও তার যেসব নেক আমল ও নেক কাজের সওয়াব তার কাছে পৌঁছাতে থাকবে, তারমধ্যে- ১. ইলম বা জ্ঞান, যা সে শিখেছে এবং প্রচার করেছে; ২. নেক সন্তান, যাকে সে দুনিয়ায় রেখে গেছে; ৩. কোরআন, যা সে উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেছে; ৪. মসজিদ, যা সে নির্মাণ করে গেছে; ৫. মুসাফিরখানা, যা সে পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্মাণ করে গেছে; ৬. কূপ, যা সে মানুষের পানি পান করার জন্য খনন করে গেছে এবং ৭. দান-খয়রাত, যা সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় তার ধনসম্পদ থেকে দান করে গেছে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪২, সহিহ তারগিব : ৭৭)।
জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম : জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো মসজিদ নির্মাণ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।’ (বোখারি : ৪৫০, মুসলিম : ৫৩৩, তিরমিজি : ৩১৮)। মসজিদ ছোট হোক বা বড়, নিয়ত ঠিক থাকলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন। (তিরমিজি : ৩১৯, আত-তারগিব ওয়াত তারহিব : ১/১৫৬)। যদিও সেটা পাখির বাসার মতো ছোট হয়। (সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৬১০, সহিহুল জামে : ৬১২৮)।