প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
ইসলাম শান্তিপ্রিয় ধর্ম। যেখানে কাউকে গালিগালাজ তো দূরের কথা, কোনোরূপ অন্যায় কাজের শিক্ষা এতে পাওয়া যায় না। এক কথায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা ইসলাম দেয়। মানুষের সঙ্গে কারণে-অকারণে কোনোভাবেই অন্যায় আচরণ, জুলুমণ্ডঅত্যাচার করা যাবে না। মানুষের প্রতি জুলুমণ্ডঅত্যাচার সবচেয়ে মারাত্মক অপরাধ। এ কারণেই অত্যাচারিত ব্যক্তির আবেদন-নিবেদন আল্লাহর কাছে সরাসরি পৌঁছে। আল্লাহ মজলুমের চাওয়া-পাওয়া খুবই দ্রুততার সঙ্গে কবুল করেন। অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর যারা জুলুম করে, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের ভেতর বিভিন্ন দল মতভেদ করে। অতএব, যারা জুলুম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে এক কষ্টদায়ক দিনের আজাবের দুর্ভোগ।’ (সুরা জুখরুফ : ৬৫)। আল্লাহ আরও সতর্ক করেছেন, ‘অত্যাচারীরা অচিরেই জানতে পারবে, তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?’ (সুরা শুআরা : ২২৭)। এ আয়াতে ‘তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?’-এর মর্মার্থ হলো, জাহান্নাম। এতে পাপীদের জন্য রয়েছে কঠোর সতর্কবার্তা।
সমাজে বিরাজমান অত্যাচার-অনাচার ও বিশৃঙ্খলা-অস্থিরতার মূল কারণ হলো জুলুম। একে অপরের ওপর নানা রকম অবিচারের ফলে আল্লাহ মানুষের ওপর এ বিশৃঙ্খলা চাপিয়ে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘জলে-স্থলে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তা মানুষের কর্মের ফল।’ (সুরা রুম : ৪১)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ অত্যাচারীর ভয় করলে যেন এ দোয়া পড়ে- আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতিস সাবই ওয়া রব্বাল আরশিল আজিম, কুন লি জা-রান মিন ফুলান ইবনু ফুলান (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) ওয়া আহযা-বিহি মিন খালা-ইকিকা আই ইয়াফরুতা আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও ইয়াতগা, আযযা জা-রুকা ওয়া জাল্লা সানাউকা, ওয়ালা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থ : হে আল্লাহ, সাত আসমান ও মহান আরশের রব! আপনি আমাকে আশ্রয় দিন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে, তাদের থেকে; তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার ওপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন, সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। (আল-আদাবুল মুফরাদ : ৭২৯)।