মানবদেহের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে সেটাকে লো ব্লাড প্রেসার বলে। ১২০/৮০কে স্বাভাবিক এবং ৯০/৬০কে নিম্ন রক্তচাপ বলে ধরা হয়। এর আরেক নাম হাইপোটেনশন। উচ্চ রক্তচাপ যেমন ক্ষতিকর, তেমনি নিম্ন রক্তচাপও নানা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কী খাবেন, জেনে নিন-
রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণ : রক্তচাপ কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটি উচ্চ রক্তচাপের মতো কোনো রোগ নয়। অনেকের প্রায় সময়ই রক্তচাপের মাত্রা কম থাকে। এটা হতে পারে হরমোনজনিত কারণে। আবার কারও কারও দেখা যায় হঠাৎ করেই রক্তচাপ কমে যায়। বিভিন্ন অসুস্থতাজনিত কারণেও এটা হতে পারে। আবার ব্যায়াম, ক্লান্তির কাজ এবং ঠিকমতো না খেলেও রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই রক্তচাপ কমার কারণ আগে খুঁজে বের করতে হবে।
রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরা, বমিভাব, অজ্ঞান হওয়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তভাব- এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপ কমার সমস্যা লেগে থাকলে পরে এটি জটিল রোগের সৃষ্টি করে। এটি যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে।
রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন : যাদের রক্তচাপ প্রায় সময় কম থাকে এবং কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের কারণে রক্তচাপ কমে যায়, তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার রাখতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসবে। আয়রন, ভিটামিন সি, বি ১২, ও ফলেট শরীরের রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাদ্য উপাদানগুলো যে খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তেমনি একটি খাবার ডিম। হাইপোটেনশনের রোগীদের জন্য এটি উপযোগী খাদ্য। একে আদর্শ খাদ্যও বলা হয়। ডিমে আছে ভিটামিন বি ১২, যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। স্যুপ, কফি, ফলের রস, দুধ, শরবত ইত্যাদি তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। টক জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। এছাড়া পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা সোডিয়ামের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। তাই লেবু, মালটা, কমলা জাতীয় ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।