
ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা এখন পাওয়া যায় বছরজুড়েই। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এই ফলে। পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম, লাইকোপেনের মতো উপাদানও মেলে এতে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে দারুণ কিছু উপকার মেলে। জেনে নিন সেগুলো কী কী। রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে : ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কার্যকর। পেয়ারায় থাকা পেকটিন বা খাদ্যতালিকাগত ফাইবার অন্ত্রে গ্লুকোজ শোষণকে বিলম্বিত করতে পারে এবং গ্লুকোজ সহনশীলতা উন্নত করতে পারে। ২০২৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পেয়ারা পাতা খাওয়া ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : ২০২২ সালের একটি প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে যে, রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে পেয়ারা। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারার পাল্প রক্তের লিপিডের মাত্রাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষকরা ছয় সপ্তাহ ধরে পেয়ারার পরিপূরক গ্রহণের পরে ট্রাইগ্লিসারাইড, মোট কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের উল্লেখযোগ্য হ্রাস লক্ষ্য করেছেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে : ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। যেহেতু শরীর ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না, তাই এটি খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের গ্রহণ করতে হয়। পেয়ারা ভিটামিন সি এর দারুণ উৎস। কমলার চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি মেলে পেয়ারায়।
হজমে সাহায্য করে : পেয়ারার নির্যাস অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে। পেয়ারা খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। নিয়মিত ফলটি খেলে পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করা সম্ভব হয়। একটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।